কী পড়ানো হয়?
আল কুরআন ও তার প্রখ্যাত তাফসীর গ্রন্থাদি উলুমুল কুরআন,উলুমূল হাদীস, সিহাহ সিত্তাহ,মুসলিম বিশ্বের ইতিহাস,মুসলিম দর্শন, ইসলামী আইন, সুফিবাদ, কম্পিউটার সাইন্স, ফিকহ গ্রন্থাদি, ইসলামী অর্থনীতি,রাষ্ট্রনীতি, ইসলাম ও অন্যান্য মতবাদের তুলনামূলক আলোচনা এ ছাড়াও প্রতি কোর্সে আছে বর্তমান প্রেক্ষাপট অনু্যায়ী কিছু সাব্জেক্ট যেমন,বাংলা ইংলিশ,পলিটিকাল সাইন্স,ইতিহাস,অর্থনীতি,সমাজকর্ম ইত্যাদি।
কোথায় পড়ানো হয়??
ঢাবি, ঢাবির সাত কলেজ, রাবি, চবি, জবি, ইবিতে পড়ানো হয় । এছাড়া জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে অন্তর্ভূক্ত বেশ কয়েকটি সরকারি-বেসরকারি কলেজে এ বিষয়ে অধ্যয়নের সুযোগ রয়েছ
চাহিদা
সারাবিশ্বে বর্তমানে হতাশাগ্রস্থ মানুষের কছে বিভিন্ন তন্ত্রমন্ত্র যখন শান্তির নামে অশান্তিতে ভরে তুলেছে তখন বিশ্ববাসী আজ আগ্রহ প্রকাশ করেছে ইসালামী জীবন ব্যবস্থাকে মানার জন্য । তাই বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ইসালমী অর্থনীতি, সমাজনীতি, রাজনীতি বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে । আর এক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞ হিসেবে ইসলামিক স্টাডিজের ভূমিকা অগ্রগণ্য ।
বাংলাদেশ ছাড়াও আরব মিডলিস্ট (সৌদি,কাতার, আরব আমিরাত,মিশর,জর্ডান,ওমান) এর বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে রয়েছে স্কলারশিপ এর সুযোগ। বিশেষ করে সৌদি মদিনা ইউনিভার্সিটি, মিশর আল-আযহার ইউনিভার্সিটিতে রয়েছে এই বিষয়ে উচ্চতর ডিগ্রি লাভ করার সুযোগ। এমনকি অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির আওতাধীন ইসলামিক ইনস্টিটিউট নামে একটি ফেকাল্টি রয়েছে,সেখানেও রয়েছে স্কলারশিপ নিয়ে পড়ার সুযোগ।
বিষয়ভিত্তিক অবস্থানঃ
বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষায় যারা মেধাতালিকায় শেষের দিকে থাকে তারাই বিষয় হিসেবে ইসলামিক স্টাডিজ পায় তাছাড়া কারো পছন্দেরও সাব্জেক্ট হিসেবে এই সাব্জেক্ট প্রথম বা দ্বিতীয় চয়েসে থাকে, যেমন আমারই দ্বিতীয় পছন্দক্রম ছিল।
যাইহোক
চাকুরির সুবিধাঃ
ইসালামিক স্টাডিজে স্নাতক ডিগ্রিধারীরা বিসিএস এর মাধ্যমে বিভিন্ন পেশায় আত্ম নিয়োগ করতে পারে, রয়েছে বিসিএস শিক্ষা( যা অন্যান্য অনেক বিভাগের নেই) , ক্লাস থ্রী থেকে অনার্স পর্যন্ত এই বিষয় পড়ানো হয়, সুতরাং যেকোনো প্রতিষ্ঠানে আপনার সুযোগ রয়েছে।
মাদ্রাসার বিভিন্ন পদে চাকুরীর সুযোগ যেমন — দাখিল,আলিম,ফাজিল, কামিল এসব প্রতিষ্ঠানের উচ্চপদে যাওয়ার সুযোগ আপনারই আছে । তাছাড়া ইসলমী ধ্যান ধারণায় পরিচালিত প্রতিষ্ঠানে তাদের বিভিন্ন ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার প্রদান করা হয় । গবেষক হিসেবেওে এদের মূল্যায়ন রয়েছে।
তাছাড়া ইসলামি ব্যাংক গুলাতে বিভিন্ন অফিসার পদে জব,বিভিন্ন বেসরকারী প্রতিষ্ঠান, সরকারি ধর্মীয় সেক্টর,বিভিন্ন স্কুল, কলেজ এবং ইউনিভার্সিটির নিজের বিভাগের শিক্ষক হিসেবে ঢুকার সুযোগ ত আছেই।
বাংলাদেশের যে চাকুরীর বাজার! চাকুরীর পরীক্ষা দিয়ে চাকুরী পেতে হয়, এই বিষয়ে পড়ে যে সময়টুকু চাকুরীর জন্যে পড়ার তুমি সুযোগ পাবে, আমার বিশ্বাস অন্যান্য বিভাগে সেরকম পাবেনা।
সর্বশেষ,একটা কথাই বলব,তুমি আমি যে সাব্জেক্টেই পড়ি না কেন যদি ভাল না করে পড়ি আর মামা -খালু -কোটা-টাকাও না থাকে তাহলে চাকুরির ময়দানে তোমাকে আমাকে ঘুরে ঘুরে জুতার সাথে পাও ক্ষুয়াতে হবে।
আর আল্লাহর উপর দৃঢ় বিশ্বাস রেখেই বলছি, এই সাব্জেক্টে পড়ে আমি কাউকে আদৌ বেকার দেখিনি. বরং ভালো ভালো পদ ও চাকুরি নিয়ে বেশ সুখে আছেন।
ধর্মীয় শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে ন্যায়ের পথে বাচঁতে হলে এই সাবজেক্টের বিকল্প নাই বললেই চলে।